চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে আবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মালামাল হারালেও এবার ডাকাতদের একজনকে হাতেনাতে ধরে কঠিন মার দিয়েছে যাত্রীরা।
সোমবার সকালে শরীয়তপুরের মান্দারহাট এলাকার পদ্মা নদীতে এমভি শাহআলী-৪ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ডাকাত বিল্লাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ উপজেলার পাইনাদী এলাকার বাসিন্দা।
লঞ্চটির মালিক ও ম্যানেজার আক্তার হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ১০টার দিকে কাচিকাটা এলাকা পাড় হয়ে মান্দারহাট অতিক্রম করার সময় দুটি স্পিডবোট নিয়ে লঞ্চের গতি রোধ করে ১৫-২০ জনের একটি ডাকাত দল। তারা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও রামদা নিয়ে লঞ্চে উঠে পরে।
ডাকাতরা ৫০-৬০ জন যাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় বলে জানান লঞ্চ মালিক।
লঞ্চের মাস্টার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতরা লঞ্চে উঠেই আমাকে অস্ত্র ধরে লঞ্চ বন্ধ করতে বলে। এ সময় আমি জীবন বাঁচাতে লঞ্চ বন্ধ করে দেই। লঞ্চে সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল ছিলেন। ডাকাতরা তার মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছে। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় একজন ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় নৌ পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান বলেন, ‘মূলত শীতকালে কুয়াশার কারণে নৌপথে ডাকাতি বেড়ে যায়। কুয়াশায় ডাকাতরা নিজেদের সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে এবং নৌযানগুলোও ধীরে চলাচল করে। তারপরও আমরা তৎপর আছি। নৌপথে ডাকাতিরোধে প্রয়োজনে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়ন করা হবে। ডাকাত দলকে ধরতে অভিযান চলছে।’
শীত নামার পর থেকেই চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-রুটে ডাকাতি বেড়েছে। গত ১৯ নভেম্বর একটি যাত্রীবোঝাই লঞ্চ মেঘনা নদীতে ডাকাতদের কবলে পড়ে। রাত ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা ও চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
এই নৌ রুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বিজয় দিবসের রাতেও। চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ রুটের লঞ্চ এমভি হৃদয়ে লুটপাট চালায় ডাকাতেরা।