প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় মিরপুরের কালসীর আদর্শনগরের খিচুড়ি পট্টির আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। তার আগেই সেখানে পুড়ে যায় ছোট বড় ৫৫টি ঘর।
নিম্ন আয়ের পরিবারের বসাবাস এই বস্তিতে যখন আগুন লাগে, তখন শ্রমজীবী মানুষরা বেশিরভাগই কর্মস্থলে ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে এসে ঘরের মালামাল বের করতে পেরেছে খুবই কম সংখ্যক।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মিরপুরের সেকশন ১১ এর আদর্শনগর খিচুড়ি পট্টির বস্তিটিতে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাশেদুল আমিন বলেন, তিনটা ৫৫ এর দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাঁশ ও কাঠের ফ্রেমে টিনের ঘরগুলো সব পুড়ে যায়। র্যাব জানিয়েছে, এই বস্তিতে ২৮২টি পরিবার থাকত। বস্তির পাশে টিনশেড হাফ বিল্ডিংগুলো কেবল অক্ষত আছে। বাকি সব পুড়ে গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন মনির হোসেন। তিনি বস্তির পাশের একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। আগুন লাগার খবর শুনে পড়িমড়ি করে ছুটে আসেন। কিন্তু কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
নিউজবাংলাকে মনির বলেন, ‘বাসার পাশে চায়ের দোকানে আছিলাম। আগুন লাগছে হুইন্যা দৌড়ায়া আইলাম। কোনোদিক দিয়া কী বাইর করমু ঠাহর করতে পারছি না। সবাই দৌড়াদৌড়ি করতাছিল। পরে কিছুই বাইর করতে পারলাম না।’
বস্তির নিম্ন আয়ের প্রায় প্রতিটি পরিবারের অভিজ্ঞতাই একই রকম। ভেতরের মালামাল খুব কমই বের করতে পেরেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তারা নিজেদের দুঃখ ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিচ্ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবুল বাশার বলেন, ‘সাতটি ইউনিটের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তারপরেও আমাদের স্টাফরা কাজ করছেন। ৫৫ টি ছোট বড় ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করছি৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না, তদন্তের পর বলতে পারব।’
আগুন কীভাবে লেগেছে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় লোকজন। বস্তির ক্ষতিগ্রস্তরা কেবল চেষ্টা করেছে যা কিছু সম্ভব তা বের করে আনতে।
সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল র্যাব-৪ এর একটি দল।
ডিআইজি হারুন অর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বস্তিতে প্রায় ২৮২টি পরিবার ছিল।’