বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার কয়েক আসামির বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আসামিরা ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উচ্চ আদালতে গত সপ্তাহে আবেদন করে।
ওই আবেদনটি শুনানি শেষে উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় আদালত।
সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম রিপন।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারিক আদালতে আবরার হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। এ আদালতে শুনানি করতে অনাস্থা এনে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। সে আবেদনের শুনানি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে আদালত।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বেশ কয়েক জন আসামি বিচারিক আদালতের স্থানান্তর চেয়েছিলেন। আদালত তা নট প্রেস রিজেক্ট করেছেন।’
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচ তলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।