দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি করেছে অথবা বাড়ি কিনেছে এমন বাংলাদেশি যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও দ্বৈত পাসপোর্ট আছে তাদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত আদেশে বলেছে, দুর্নীতি-অর্থ পাচারের মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি করেছে এবং তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) দিয়ে দেশে-বিদেশে নির্বিঘ্নে আসা যাওয়া করছে, তাদের তালিকা দিতে হবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুলিশ সুপার স্পেশাল ব্রাঞ্চকে (ইমিগ্রেশন) এ তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
কানাডাসহ দেশের বাইরে অর্থপাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে গত ২২ নভেম্বর আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে। ওই রুলের ধারাবাহিকতায় সোমবার মামলাটি তালিকায় ছিল।
শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী আদালতের কাছে দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়ে আদেশ প্রার্থনা করেন।
এ সময় আদালত বলে, ‘দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারী কারা, সেটা আমরাও জানতে চাই।’
পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেয়।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা দিলেও তাতে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্ট আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়ে পরবর্তী তালিকা দিতে বলে।
গত ১৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে বক্তব্য দেন। তারপর এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেটি দেখেই আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে।