বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসির ‘ছেলেমিতে’ লজ্জায় বদিউল

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:২৬

‘আসলে এটা শুনে আমি লজ্জিত হয়েছি। এটা তো ছেলেমির বিষয়! এটা ভাবতেও অবিশ্বাস্য লাগে। সত্যিই কল্পনা আনাও দুরূহ। ওনার মতো একজন কমিশনার এতটা ছেলেমি করবেন, তা ভাবাও যায় না।’

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর বিশিষ্টজনদের বিরুদ্ধে একজন কমিশনারের প্রতিক্রিয়ায় লজ্জা পেয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার।

ব্যবসা না পেয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াকে ছেলেমি বলেছেন বদিউল। বলেছেন, ‘আমি লজ্জিত’।

গত শনিবার ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অসদাচরণ, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, নিয়মবহির্ভূত বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবহার, ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম, অংশীজনের মতামত উপেক্ষা, নির্বাচনি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা সাক্ষরিত ফলাফলের সঙ্গে কেন্দ্রের ফলাফলের অমিলসহ নানা অভিযোগ আনেন।

এই বিশিষ্টজনরা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে চিঠি দিয়ে এর প্রতিকারও চেয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন

এর প্রতিক্রিয়ায় রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বিবেচনায় (বিশিষ্টজনদের মধ্যে) যারা নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছেন, তারা এই নির্বাচন কমিশনে ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। সেই ব্যবসার সুযোগ হয়ত এই নির্বাচন কমিশনের আমলে হয়নি। তাই তারা ক্ষুব্ধ হতেই পারেন।’

যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। তিনি বলেছেন, ‘এটা রাষ্ট্রপতির কাছে পেন্ডিং, এটা নিয়ে কথা বলবো না।’

শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা ইসির পুরোনো কৌশল। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, ঢাল হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে পাল্টা আক্রমণের কৌশলটা তাদের অনেক পুরনো।

‘আসলে এটা শুনে আমি লজ্জিত হয়েছি। এটা তো ছেলেমির বিষয়! এটা ভাবতেও অবিশ্বাস্য লাগে। সত্যিই কল্পনা আনাও দুরূহ। ওনার মতো একজন কমিশনার এতটা ছেলেমি করবেন, তা ভাবাও যায় না।’

পাল্টা অভিযোগ তুলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘যদি নির্বাচন কমিশনারের অভিযোগ সত্যও হয়, তাহলে কি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা হয়ে যাবে?’

যে ৪২ বিশিষ্টজন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাদের মধ্যে এনজিও কর্মী বদিউল আলম মজুমদার ছাড়াও রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, আকবর আলি খান ও সুলতানা কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, কামাল হোসেনের স্ত্রী হামিদা হোসেন, কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম ও আহসান এইচ মনসুর, এনজিও কর্মী, রাশেদা কে চৌধুরী, খুশী কবীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, আইনজীবী শাদহীন মালিক, বামপন্থি রাজনীতিক আনু মুহাম্মদ, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম।

এ বিভাগের আরো খবর