রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় ভারত। তবে তা হতে হবে নিরাপদ ও টেকসই।
দোরাইস্বামী আরও বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। রোহিঙ্গাদের এখানে রাখার জন্য যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে তাও চমৎকার।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের ফেরাতে ঢাকা- নেপিদো চুক্তি হলেও, মিয়ানমারের অনাগ্রহে আজও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।
কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে সম্প্রতি ভাসানচরে আধুনিক আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে সরকার। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করতে ২০১৭ সাল থেকেই দ্বীপটিতে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।
সীমান্তে সড়ক দুর্ঘটনা ইস্যুতেও কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। জানান,অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। যার ৯৫ শতাংশই ঘটে ভারতের সীমান্ত এলাকায়।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজাসহ সাংবাদিক নেতারা।