দেড় যুগ আগে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় আরও এক জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ১৯ জন।
রোববার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন।
এ ছাড়া আগের তিন সাক্ষী কলারোয়ার আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, কলোরোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রমনা থানা যুব মহিলা লীগের সাবেক আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথীকে কাঠগোড়ায় তোলা হলেও তাকে জেরা করেনি আসামিপক্ষ।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, এ মামলায় সাবেক সাংসদ ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন। ২১ ডিসেম্বর আবারও সাক্ষ্যর জন্য দিন ধার্য আছে।
ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার বহরে হামলা হয়।
এ সময় গুলি ছোড়া হয়, বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৫ সালে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়। ওই মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন হয়।
কিন্তু একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ৬ অক্টোবর সে রুলের শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করে হাইকোর্ট।
গত ৮ অক্টোবর মামলাটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই মামলা থেকে আসামি রাকিবুর রহমানের নাম বাতিলের প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেয় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি আব্দুল লতিফ।
আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিএনপি নেতা মাহাবুবউদ্দিন খোকন, শাহানারা আক্তার বকুল, আব্দুল মজিদ, সৈয়দ ইফতেখার আলী, মিজানুর রহমান পিন্টু।