মাদক মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় তৃতীয়বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৩ জানুয়ারি র্নিধারণ করেছে আদালত।
রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তা জমা দিতে পারেননি। এ জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম শাহিনুর রহমান প্রতিবেদন দেয়ার নতুন তারিখ দিয়েছেন।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে নিউ মার্কেট থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এরপর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসময় তার স্ত্রীকেও গালাগাল করা হয়।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে।
অভিযানে ইরফানের কক্ষে অবৈধ ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি ও বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া একটি অবৈধ পিস্তল ও এয়ারগান উদ্ধার করা হয় বাসাটি থেকে। এই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা হয় হাজী সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার অভিযোগে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।