একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে ‘সত্য বলার অপরাধে’ কারণ দর্শাতে বলায় দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিএনপি অবমাননা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শাক দিয়ে যেমনি মাছ ঢাকা যায় না তেমনি বিএনপিও তাদের অপরাজনীতি এখন আর ঢেকে রাখতে পারছে না।’
নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
‘বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক একটি দল। যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না। নেতিবাচক রাজনীতির কারনেই বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যে কোন নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে পারে। বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে।’
দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ ১১টি অভিযোগ এনে গত ১৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বিএনপি। অভিযোগ নাকচ করে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ দাবি করেন, তার কারণেই বিএনপি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে হাফিজ এও বলেছেন, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। কেন এটা হয়েছে সেটা তার প্রশ্ন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেজর হাফিজকে ঈঙ্গিত করা দলের ভেতরের মহলটি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে। এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে, দলীয়ভাবে তারা ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের সঙ্গে গোপন সখ্য রাখায় বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।’