বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙলে কেউ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এরা (ভাস্কর্যবিরোধীরা) ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে শাসন করতে চায়। এই উচ্ছিষ্টভোগী, পাকিস্তানিদের পা চাটা কুকুরদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা রাজাকার আলবদর বাহিনীকে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছি।
‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি দোসরেরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তাদেরকে আমরা বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করব। যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হয়েছে তাদেরও তেমন বিচার হবে।’
সম্প্রতি রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতায় কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামপন্থি বেশ কয়েকটি দল দেশ উত্তাল করে তোলে।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা আরেকটি ৫ মের পরিস্থিতি তৈরি করবেন। এরপর হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তারা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেবেন।
শুরুতে এ ইস্যুতে সরকারপন্থিরা চুপচাপ থাকলেও কুষ্টিয়ায় গত ৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর রাস্তায় নেমে আসে তারা। তাতে অবস্থান পাল্টায় ইসলামী দলগুলো।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, সেইসব মহাপুরুষদেরই ভাস্কর্য নির্মাণ হয়, যারা দেশ জাতি ও মানবকল্যাণে অবিশ্বাস্য অবদান রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে হাতুড়ি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নে স্থাপিত ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য। এতে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া তিন জনের একজন ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের নাম এসেছে কুষ্টিয়াতে। সতেরো কোটি মানুষের দেশ। অনেকেই বিভ্রান্ত সে সত্যিকারের যুবলীগ কি না। না কোনো রাজাকার আলবদরের সন্তান, যারা নানান পরিচয়ে আসে। তাও হতে পারে।
‘তবে যে লীগই হোক না কেনো, কেউ বাংলাদেশের চেতনাকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আলাদা করতে পারবে না।’