বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ বাস যাত্রীর মৃত্যুতে দায়ী নয়নের অবহেলা

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:২৩

পুরানাপৈল রেলক্রসিংটি অনুমোদিত। সেখানে তিন জন গেটকিপার পালা করে কাজ করেন। এদের মধ্যে দুই জন স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আরেক জন। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন নয়ন হোসেন। দুর্ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলগেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বাসচালকের সহকারী সোহেল হোসেন। তিনি বলছেন, রেলক্রসিংয়ে বার ছিল ওঠানো, এ কারণেই ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন বাসচালক।

নিউজবাংলাকে সোহেল বলেন, ‘২০ থেকে ২২ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি যখন পুরানাপৈল রেলগেট অতিক্রম করছিল, তখন সেখানে কোনো গেটকিপার ছিলেন না। ট্রেনটি বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়ার আগ মুহূর্তে আমিসহ কয়েক জন লাফিয়ে পড়ে কোনোরকমে প্রাণে বাঁচি।’

তিনি আরও বলেন, ‌ওখানে বারটি নামানো থাকলে তারা রেলক্রসিংয়ে উঠতেন না। এতগুলো মানুষকে এভাবে মরতে হতো না।

শনিবার ভোরে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে ওই বাসকে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলে নিহত হন ১২ জন। গুরুতর আহত আরও পাঁচ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

হতাহতের খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পার্বতীপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক (বার) নামানো ছিল না। গেটম্যান কোথায় ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।

রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুরানাপৈল রেলক্রসিংটি অনুমোদিত। সেখানে তিন জন গেটকিপার পালা করে কাজ করেন। এদের মধ্যে দুই জন স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আরেক জন। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন নয়ন হোসেন। দুর্ঘটনার পর থেকে নয়ন পলাতক।

দুর্ঘটনার পর রংপুর বিভাগের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারী ট্রেন রেলপথ থেকে সরিয়ে নেয় দ্বিখণ্ডিত বাসটি। আট ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় ট্রেন চলাচল।

রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার আধা ঘণ্টা পর ওই রেলক্রসিং এলাকায় আবারও যান নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধি। এ সময় যে কক্ষটিতে গেটকিপাররা অবস্থান করতেন, সেটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এই রুম থেকে মাত্র ১০ গজ দক্ষিণে লাল রঙের একটি কক্ষে গেটকিপাররা ঘুমাতেন। তালাবদ্ধ ছিল ওই কক্ষটিও।

গেটকিপারদের বিষয়ে জানতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে হয়রানির ভয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক চা দোকানি জানান, গেটকিপার নয়নের বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায়। আর আব্দুর রহমান ও মঞ্জুর বাড়ি বগুড়ায়।

রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, গেটকিপাররা আট ঘণ্টার পালায় কাজ করতেন। প্রাণহানির পর থেকেই নয়নসহ তিন জনই পলাতক। নয়নের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও রেল বিভাগ দুটি তদন্ত কমিটি করেছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর