খাদ্যে দীর্ঘমেয়াদে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে নগরকৃষি ও ছাদকৃষিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘জনসংখ্যার হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটি অব্যাহত থাকলে আগামী ২০ বছর পর দেশে আরও ৪ কোটি মানুষ যুক্ত হবে এবং ৪০ লাখ একর জমি কম থাকবে। তখন কিন্তু সমস্ত প্রস্তুতি ও শ্রম যুক্ত করেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকা কঠিন হবে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, এত মানুষের খাদ্য সরবরাহে কৃষিজমিতে অতিরিক্ত চাপ পড়লে উৎপাদনশীলতা নষ্ট হবে।
‘সে জন্য এ কথাগুলো মাথায় রেখে এখন থেকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নগরকৃষি, ছাদকৃষি এগুলোর ওপর জোর দিতে হবে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
কৃষিতে প্রতিবন্ধীদের অবদান নিয়ে গবেষণা ও ফলাফলবিষয়ক সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে দ্য লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ, ইকো-কো অপারেশন ও কৃষক লীগ।
কৃষিক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ নিয়ে হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের আগে লুকিয়ে রাখা হতো। এখন কোনো বাবা-মা তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে লুকিয়ে রাখে না। এখন বাবা-মা তাদের প্রতিবন্ধী সন্তান কীভাবে সুযোগ্য হবে, সে চেষ্টা করে।’
এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (পুতুল) প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের দিকে নজর দেয়ার জন্য আন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (মাঠ সেবা শাখা) মাহফুজ হোসেন মৃধা ও ইকো- কো অপারেশনের হেড অফ প্রোগ্রামার আবুল কালাম আজাদ।