বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বার কাউন্সিল পরীক্ষাবঞ্চিতরা ফের সুযোগ পেতে পারেন

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৩৮

বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের সভায় বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশের তাণ্ডবে বেশ কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষা পণ্ড হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফের পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।

বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা তো দিয়েছেন। আর যারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি, বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণের কথা বিবেচনা করা হবে।’

রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল ৯টায় একযোগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ১০ মিনিটের মধ্যে ‘প্রশ্ন কঠিন হয়েছে’ অভিযোগ তুলে কিছু পরীক্ষার্থী খাতা ছিড়ে হল থেকে বের হয়ে যান।

তাদের বাধায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে অন্যরাও পরীক্ষা দিতে পারেননি। প্রথমে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এরপর সায়েন্স ল্যাবরেটরি স্কুল, মোহাম্মদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।

বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের সভায় বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’

মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরিক্ষার্থী আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেয়ার পর হঠাৎ হৈচৈ শুনি, মিছিল নিয়ে একদল এসে আমাদের খাতা ছিঁড়ে ফেলে। শুনেছি অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। এখন আমাদের কী হবে। আমরা তো প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষায় বসেছিলাম। ’

সায়েন্স ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন নাহিদা খানম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আমি পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর লিখেছি, এমন সময় ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাইরে থেকে কিছু লোক হলে প্রবেশ করে জোর করে খাতা নিয়ে যায়। আমি না দিতে চাইলে তারা অকথ্যভাষায় গালাগাল করে। ’

পরীক্ষা বর্জনকারীদের দাবি, এবারের প্রশ্ন অত্যন্ত কঠিন হয়েছে। বার কাউন্সিলে ইতিহাসে কখনও এ ধরনের প্রশ্ন হয়নি। এ কারণে সরাসরি ভাইভা নিয়ে নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের দাবি জানান তারা।

মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া গেলে এ ঘটনায় মামলা হবে।’

বার কাউন্সিলের এবারের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর