বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার টিকা দেশেই উৎপাদনের ঘোষণা

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:১১

‘বিশ্বের যে সব দেশ করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে, তাদের কাছ থেকে টেকনোলজি এনে দেশেই উৎপাদন করা হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি দেশের কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে।… দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির করোনার টিকা তৈরির সক্ষমতা আছে।’

অন্য দেশ থেকে প্রযুক্তি এনে দেশেই করোনার টিকা উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান। এ জন্য কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় এক বছর ধরে মহামারিতে টালমাটাল বিশ্ব। এর মধ্যে কয়েকটি টিকা আশা জাগাচ্ছে, যদিও এখনও কোন টিকা পুরোপুরি কার্যকর, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

তার পরেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দিতে চায় অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত টিকা। যদিও এখনও টিকাটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। তারপরও বাংলাদেশ তিন কোটি টিকা আনতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

সিরাম ইনস্টিটিউট চুক্তি করেছে অক্সফোর্ডের সঙ্গে। এই অঞ্চলে টিকাটি উৎপাদন করবে তারাই।

এই টিকা কবে আসবে, সেটি নিশ্চিত না হলেও সরকার জানুয়ারির মাঝামাঝি আসবে ধরে আগাচ্ছে।

শুক্রবার ঝিনাইদহের এফএনএফ নামের একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানা পরিদর্শনের সময় টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঔষধ প্রশাসনের প্রধান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে সব দেশ করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে, তাদের কাছ থেকে টেকনোলজি এনে দেশেই উৎপাদন করা হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি দেশের কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে।’

বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব নেই দাবি করে মাহবুবুর বলেন, ‘দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির করোনার টিকা তৈরির সক্ষমতা আছে। টেকনোলজি ট্রান্সফার করা হলে দেশেই টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।’

গত ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া ভার্চুয়াল ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। তিনি সেদিন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনা টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তরের দাবি করেন।

যথাসময়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য মানসম্মত টিকা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর ট্রিপস চুক্তির আওতায় আইপি রাইটস ওয়েভার ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে আর সুযোগ পেলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

করোনার টিকা ছাড়াও দেশের ওষুধের মান নিয়েও কথা বলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘এজন্য ঔষধ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। সাবস্ট্যান্ডার্ড (মানহীন) ওষুধ যেন কেউ উৎপাদন করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাহানুর রহমান, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মকলেছুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর