বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পায়রা বন্দর চ্যানেল খননে চুক্তি সই

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:৪৩

চুক্তিপত্র অনুযায়ী রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেলে) প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থের চ্যানেলে আনুমানিক ৯.৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে। ১৮ মাস সময়ের মধ্যে খনন কাজ সমাপ্ত করতে প্রায় ৪৩৭.৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটির ব্যয় পায়রা বন্দরের নিজস্ব তহবিল হতে জোগানো হবে।

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ খননে চুক্তি সই হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুল এর মধ্যে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ চুক্তি হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুল এর প্রকল্প পরিচালক জান মোয়েন্স।

চুক্তিপত্র অনুযায়ী রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেলে) প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থের চ্যানেলে আনুমানিক ৯.৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে। ১৮ মাস সময়ের মধ্যে খনন কাজ সমাপ্ত করতে প্রায় ৪৩৭.৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটির ব্যয় পায়রা বন্দরের নিজস্ব তহবিল হতে জোগানো হবে।

পায়রা বন্দরে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিসিপিসিএল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে কয়লা সরবরাহ করার লক্ষ্যে কয়লাবাহী জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করতে এ খনন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট, ক্লিংকার, খাদ্যশস্য, ফ্লাইঅ্যাশ, সার, নির্মাণসামগ্রী ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে চ্যানেলের (৬.৩ মিটার গভীরতা) রক্ষণাবেক্ষণ খনন করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে। পায়রা বন্দর গতিশীল করতে ড্রেজিং কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। জরুরি মেইনটেনেন্স ড্রেজিঙয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপিটাল ড্রেজিঙয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিঙয়ের কাজটি নিজস্ব অর্থায়নে করতে যাচ্ছি।’

দেশের নৌ ও সমুদ্র সীমানায় অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পায়রা বন্দর ২০৩৫ সালে দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মামুনুর রশিদ।

এ বিভাগের আরো খবর