প্রশিক্ষণ বা পরিদর্শনের জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের নামে অর্থের অপচয় রোধে নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।
হাইকোর্ট এক মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেনাকাটায় বিদেশ ভ্রমণের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাতে হবে।
রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধ করতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি যুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
পাঁচ বছর আগে বিআইডব্লিউটিসির ছয় কোটি টাকার ফগলাইট কেনা নিয়ে এক রিট আবেদনের বিষয়ে আদেশে এই পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়।
২০১৫ সালে বিআইডব্লিউটিসির ফগলাইট কিনতে আমেরিকায় যান প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক জ্ঞান রঞ্জন শীল, জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পংকজ কুমার পাল। এই চার সদস্যের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ছিল মাত্র একজন।
ছয় কোটি টাকা দিয়ে ১০টি ফগ লাইট কেনা হয়, যা ছিল নিম্নমানের। দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালে এই ফগ (কুয়াশা) লাইট পরীক্ষা করা হয়।
মাওয়া আরিচা ফেরিঘাটে ফগ লাইট পরীক্ষা করার পার দেখা যায়, সাত হাজার ওয়াটের লাইট কাজ করছে তিন হাজার ওয়ার্ডের সমান। কিন্তু এর মধ্যে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। তবে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেয়া হয় ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা।
এরপর ২০১৬ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জনি করপোরেশন। ওই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে রিটটি খারিজ করে দিয়ে এ রায় দেয় হাইকোর্ট।
আদালতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
সাইফুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, অকার্যকর ফগ লাইট সরবরাহের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক গ্যারান্টি ২৮ লাখ উদ্ধারে করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।