বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাচার হাজার কোটি, ফেরত শুধু কোকোর ২১ কোটি

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:০৬

হাইকোর্টে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, কাফরুল থানার এক মামলায় ২০০৯ সালে পাচার করা প্রায় ২১ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, এই টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছিলেন কোকো।

সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত দেশে ফেরত আনা গেছে মাত্র ২১ কোটি টাকা।

হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার জমা দেয়া প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো এই টাকা পাচার করেন বলে জানা গেছে।

দুদকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিএনপির আরও দুই নেতা এবং হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থ দেশের বাইরে আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফ্রিজ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাফরুল থানার এক মামলায় ২০০৯ সালে পাচার করা প্রায় ২১ কোটি টাকা ২০১২ ও ২০১৩ সালে পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, এই টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছিলেন কোকো।

এর বাইরে একই সালে ক্যান্টনমেন্ট থানার এক মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা জব্দ করে রাষ্ট্রের অনুকুলে জমা করা হয়। তবে এই টাকা দেশেই সোনালী ব্যাংকে জমা ছিল।

হাইকোর্টকে দুদক জানায়, ২০১৪ সালে রমনা থানার মামলায় যুক্তরাজ্যে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৩৮ পাউন্ড ফ্রিজ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০১৩ সালে গুলশান থানার এক মামলায় বিএনপির আরেক নেতা মোরশেদ খানের ১৬ মিলিয়ন হংকং ডলার ফ্রিজ করা হয়েছে।

২০১১ সালের ক্যান্টনমেন্ট থানার এক মামলায় যুক্তরাজ্যে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৩ পাউন্ড ফ্রিজ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক।অর্থপাচারের অভিযোগে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৭টি মামলায় দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। তদন্ত চলছে আরও ৮৮টি মামলার।

অর্থপাচার নিয়ে সবশেষ তথ্য জানাতে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়। এরপর দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে এতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় নতুন করে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর