ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল আলোচনায় বাংলাদেশ কী চেয়েছে, তার বর্ণনা দিলেও ভারত কী চেয়েছে, সেটার বিষয়ে কিছু বলছিলেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখলে তিনি বলেন, ভারত তো অনেক পেয়েছে।’
করোনাকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে আগ্রহ ছিল ব্যাপক। অমীমাংসিত সমস্যার সমাধানে কোনো বক্তব্য আসে কি না, সেদিকে ছিল দৃষ্টি।
আলোচনা শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবুল মোমেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যাসহ প্রায় সব প্রসঙ্গে কথা বলেছে। ভারতও এ সব বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
মোদি বলেছেন, তার দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র আর ব্যবহার করবে না। আর তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে আছে।
ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দিতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছেন মোদি। বাংলাদেশও এতে রাজি হয়েছে।
ভারত কী চেয়েছে- এমন প্রশ্নও ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্স
জবাবে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত তো অনেক পেয়েছে। তাদের ইস্টার্ন বর্ডার সিকিউরিটি সর্বকালের সেরা শান্তিতে আছে।
‘তারা সিকিউরড বর্ডারে আছে। আমরাও সিকিউরড বর্ডারে আছি। শান্তিতে আছি। কোন আতঙ্ক নেই।’
গত এক দশকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলাদেশের কারাগারে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনুপ চেটিয়াপে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।’
২০১৮ সালের ২৫ ও ২৬ মে ভারত সফর করে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনিতেই তাদের কাছ থেকে অনেক পণ্য কিনি। তারা আমাদের সঙ্গে অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য করে। তাদের লোকের কর্মসংস্থান হয়।
‘আমাদের দেশে তাদের অনেক মানুষ কাজ করে। তারা স্কিলড। তারা আমাদের সহায়তা করছে।’