কানাডার কথিত বেগমপাড়াসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা তালিকায় অসন্তোষ জানিয়েছে হাইকোর্ট।
পরে নতুন করে তালিকা দিতে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ফের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সময় দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ সময় দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে আদালত বলেন, ‘পুরাতন কাহিনী বলে লাভ নেই। আমাদের আদেশের পর কী করেছেন তা দেখতে চাই। তার একটা ফিরিস্তি দেন। যারা অবৈধভাবে দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে গাড়ি-বাড়ি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি জানতে চাই। নতুন কী করেছেন সেটা বলেন।’
এ সময় আদালত আরও বলেন, ‘যে সব সংস্থা আছে, তারা যদি সরকারকে সহায়তা করে তাহলে কেন অর্থ পাচারকারীদের নাম ঠিকানা জানা যাবে না? কোর্টের কাজ হলো সরকার ও জনগণকে সহযোগিতা করা।’
আদালত বলেন, ‘আমরা দেশ ও দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে চাই।’
অর্থ পাচার নিয়ে গণমাধ্যমে যে রিপোর্ট হয়েছে তা অশনি সংকেত বলেও উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
১৮ নভেম্বর বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তার বক্তব্যের সূত্র ধরে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চায়। তারই আলোকে আজ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়া হয়।
এতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের নতুন করে তালিকা দিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় চেয়েছে। তারা বলেছে বিদেশি মিশনগুলোর কাছ থেকে নির্দেশনা পেলে অর্থপাচারের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএফআইইউ জানিয়েছে বাইরের দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির কারণে তারা অর্থ পাচারের তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না।’
তথ্য চেয়ে বিএফআইইউয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।