ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, তার দেশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সংযম করবে।
বৃহস্পতিবার দুই নেতার মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স শেষে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। দেশবাসীর মতো আমরাও হতাশ।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা দুই দেশের জন্যই অস্বস্তিকর বিষয়। অনেক ভালো সম্পর্কের পরও এ ধরনের দু-একটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।’
মোদি কী বলেছেন- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সরাসরি সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার বিষয়ে আবারও ঘোষণা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়াল বৈঠকের আলোচনার কার্যপত্রে ভারত সীমান্ত হত্যার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করবে বলা হয়েছে।’
সীমান্ত হত্যা বরাবরই বাংলাদেশে তুমুল আলোচিত বিষয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমে আসলেও এখনও প্রায়ই এই হত্যার ঘটনায় সমালোচনা হয়। আর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে এই বিষয়টি কাঁটা হিসেবেই দেখা হয়।
ভারত একাধিকবার সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেও তা রক্ষা করেনি।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জাতীয় সংসদে জানান, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
এ রকম মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই আসে গণমাধ্যমে, যা নিয়ে দুই দেশের গণমাধ্যমেই ব্যাপক সমালোচনা আছে। ভারতীয় মানবাধিকার কর্মীরা সীমান্ত হত্যার এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন রেখেছেন।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংলাপেও বারবার উঠে আসে এই প্রসঙ্গটি। ভারত একাধিকবার সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেও রাখেনি।
সীমান্তে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সিংহভাগেই গরু পাচার করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার গরু নিয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। তবে বিজেপি আসার আগে কংগ্রেস বা অন্য সরকারের আমলেও এই হত্যা বন্ধ ছিল না।