বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তিতে লিজ নিয়ে নির্মাণ করা আইনজীবী সিগমা হুদা ও নাজমুল হুদার ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’ ভাঙা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় সম্পত্তি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের। অবৈধ দখল নিয়ে এখানে সংস্থাটি তাদের কাজ শুরু করে। পরে মামলা হলে এটি আবার রেল কর্তৃপক্ষ ফিরে পায়।’
তিনি জানান, মানবাধিকার সংস্থাটিকে এর আগে নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী অভিযান শুরু হয়েছে।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নামে দীর্ঘমেয়াদী বরাদ্দ নেন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। ২০০৬ সালে সংস্থাটির অফিস নির্মাণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০০৮ সালে হাইকোর্টে মামলা করে রেলওয়ে। সে সময় হাইকোর্ট রায় দিতে বিব্রত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে আবার এ মামলা নিয়ে রিট পিটিশন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গঠন করতে বলে। সেই কমিটির সুপারিশেই মানবাধিকার সংস্থাটির ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আগে থেকেই নোটিশ দেয়া হয়েছিলো সংস্থাকে। এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।’
এদিকে এ অভিযানে ভাঙা পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের সীমানা দেয়ালের একাংশ। এ অংশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার তৈরি করা ছিল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই দেয়াল পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।