বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তির অপেক্ষায় কাজল

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:৩৯

এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাজলকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে বাকি দুই মামলায়ও জামিন পেলেন ফটো সাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজল।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাজলকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

তিনটি মামলার সবকটিতে জামিন পাওয়ায় কাজলের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে চার্জশীট দাখিল করতে আরও সময় চান দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাসেল মোল্লা। পরে দুই মামলায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে কাজলকে জামিন দেয় আদালত।

আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে থাকা তিন মামলায়ই তিনি জামিন পেলেন। এখন তার কারামুক্তিতে বাধা নেই।’

গত ২৪ নভেম্বর ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় ফটো সাংবা‌দিক শ‌ফিকুল ইসলাম কাজ‌লকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

ওই দিন হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। আদালতের আদেশ স্বত্বেও তদন্ত কর্মকর্তা হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ফের তলব করেন।

যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কাজ‌লসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা‌টি হয়। এর বাদী মাগুরা-১ আস‌নের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর।

এরপর ১০-১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দু‌টি মামলা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১ মার্চ একটি মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী। আরেকটি মামলা করেন সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা।

গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।

ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফ‌টো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।

পর‌দিন ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে সাংবাদিক কাজল কারাগারে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর