মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যবস্থাপনা ও প্রত্যাবাসন সমন্বয়ে জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।
‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি’র আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৭ সদস্যের এই কমিটিতে অন্যদের মধ্যে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব ও ত্রাণ সচিব।
এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসান কমিশনারকেও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই কমিটিকে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স, ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যক্রম, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন, পুনঃনিরীক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও দেখতে বলা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে। প্রতি তিন মাসে অন্তত একটি সভা করতে হবে। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে যেকোনো সময়ে সভা করতে পারবে জাতীয় কমিটি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি আজও।