মানিকগঞ্জ পৌরসভার নৌকা মার্কার প্রার্থী রমজান আলীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। যদিও নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তিনি কারও পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাইতে পারেন না।
বুধবার বেলা আড়াইটায় মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রমজান আলী বারবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও রমজান আলীকে নৌকা মার্কা দিয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভায় পাঠিয়েছেন। আমাদের সকলের দায়িত্ব এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নৌকা মার্কা শুধু রজমান আলীর নয়। এই নৌকা মার্কা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, শেখ হাসিনার এবং আমাদের সকলের। আপনাদের সকলের দায়িত্ব আগামী যে কয়দিন বাকি আছে, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার জন্য প্রার্থনা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘মানিকগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন যদি অব্যাহত থাকতে হয় ও শান্তি যদি বজায় রাখতে হয়, তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রজমান আলীকে জয়লাভ করাতে হবে।’
কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
পুলিশ সুপার রিয়াত রহমান শামীম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফটো, সহসভাপতি ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধি এভাবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইলে তাতে আচরণবিধি লংঘন করা হবে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আচরণবিধি লংঘন করেছেন কিনা তা তার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় কেউ অভিযোগও করেননি। যদি কেউ অভিযোগ করেন, প্রমাণ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে মেয়র পদে অপর প্রার্থী হলেন বিএনপির মো. আতাউর রহমান আতা।