বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের বিষয়ে মিয়ানমার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার মহাপরিচালক পর্যায়ের চতুর্থ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দেশটি এ আগ্রহ দেখায়।
করোনাভাইরাসের কারণে বৈঠকটি অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈঠকটি প্রতি বছর হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৭ সালের পর এবারই আলোচনা হয়েছে। মাঝের সময়টায় নেপিদোর অনাগ্রহে বৈঠক হয়নি। বৈঠকে তারা আমাদের প্রস্তাবিত যৌথ অভিযান নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা ভালো দিক। তা বাস্তবায়িত হলে মাদক চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হবে।’
আহসানুল জব্বার জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের রুট, উৎস নিয়ে দুই দেশের তথ্য বিনিময় ও নাফ নদী-বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে থাকা জেলেদের নাম ঠিকানা, নৌকা-ট্রলারের হিসাবসহ ডাটাবেজ প্রস্তুত করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার বলেন, ‘এরই মধ্যে মিয়ানমার শান, রাখাইন ও মংডু রাজ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীদের ইয়াবা তৈরির কারখানার বিষয়েও মিয়ানমারকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান আহসানুল জব্বার। তিনি বলেন, মিয়ানমার এসব কারখানা ধ্বংস করার আশ্বাস দিয়েছে।
মাদক পাচারের ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর তালিকা ঢাকা-নেপিদো নিয়মিত হস্তান্তর করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সীমান্তে লিয়াজোঁ অফিসের কার্যক্রম প্রশ্নে আহসানুল জব্বার বলেন, টেকনাফ ও মংডু এলাকায় লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন হলেও নিয়মিত সভা হয়নি। তবে শিগগিরই তা হওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষ।
বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডিএনসির ১৮ প্রতিনিধি অংশ নেন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মিয়ানমারে ২০২১ সালে পরবর্তী বৈঠক হবে।