করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মুজিববর্ষের মেয়াদ ৯ মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে সরকার।
১৪ ডিসেম্বর সোমবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গেজেটে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
‘মুজিববর্ষ উদ্যাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে সরকার মুজিবর্ষের সময়কাল ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত ঘোষণা করল।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি শুরু হয় মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। সেদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন উন্মোচন করা হয় মুজিববর্ষের লোগো।
কথা ছিল ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মুজিববর্ষ। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে মূল আয়োজন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার কথা ছিল বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে করোনা না এলেও এই ভাইরাসের প্রকোপে ধুঁকতে থাকে বিশ্ব। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বর্ণাঢ্য আয়োজন থেকে সরে আসে সরকার।
ফলে জাতির পিতার জন্মদিন ১৭ মার্চ রাত ৮টায় দেশের সব টেলিভিশন, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার একযোগে সম্প্রচার করা হয় ‘মুক্তির মহানায়ক’ নামের একটি অনুষ্ঠান। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মুজিববর্ষের সব আয়োজন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এর মধ্যেই মুজিববর্ষের মেয়াদ ৯ মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হলো।