হাতিয়ার নলেরচর থেকে নববধূকে নিয়ে ট্রলার করে ভোলার মনপুরার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন শরীফ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ৭৫ থেকে ৮০ জন স্বজন। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে, জোয়ারের মুখে পড়ে। স্রোতের তোড়ে ধীরে ধীরে ডুবে যায় নৌযানটি। কয়েকজন সাঁতরে কূলে উঠলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের লোকজন।
একে একে পানি থেকে তুলে আনা হয় সাতটি মরদেহ। উদ্ধার করা হয় অন্তত ৪০ জনকে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
মৃতরা হলেন-নববধূ তাছলিমা আকতার (১৮), আফরিনা আকতার লামিয়া (২), লিলি আকতার (৮), হোসনে আরা রুপা (৫), আসমা বেগম (১৯), রাহেনা বেগম (৩০) ও নুরজাহান বেগম (৬৫)।
তাছলিমা হাতিয়া চানন্দী ইউনিয়নের ইব্রাহীমের মেয়ে। বর শরীফকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার খালাতো ভাই আকবর হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলের এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ভোলার মনপুরার উদ্দেশে ৭৫-৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার রওনা দেয়। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছলে ডুবে যায়। কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তিন শিশুসহ সাত জনকে মৃত অবস্থায় তুলে আনে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৪০ জনকে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে।