বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্যবিরোধীদের প্রস্তাবে কী আছে

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:২৯

বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় শীর্ষ আলেমরা এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেন।

ভাস্কর্য নিয়ে সরকারের কাছে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন আলেমরা। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় শীর্ষ আলেমরা এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেন।

আলেমদের প্রস্তাব

১. মানব মূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়তসম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃতের আত্মার কষ্ট হয়। কারো প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে, শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার আলোকে কুরআন-সুন্নাহ সমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত।

২. আমরা নবী করীম (সা.) এর অবমাননা, বিষেদাগার, ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানাই।

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাশের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বনবী (সা.) এর প্রতি অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসব অপকর্ম বন্ধ করা হোক।

৩. বিগত সময়ে দ্বীনি আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দান ও মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সারা দেশে আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা হোক। ধোলাইপাড় চত্বরের পাশে ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্নির্মিত মসজিদ নামাজের জন্য অবিলম্বে উম্মুক্ত করে দেয়া হোক।

৪. সম্প্রতি শব্দ দূষণ ও জনদুর্ভোগের অজুহাতে দ্বীনি মাহফিলে লাউডস্পিকার ব্যবহারে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টির তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ সাধারণ শব্দদূষণ তথা উচ্চস্বরে গান-বাজনা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই বললেই চলে। কেবল ওয়াজ মাহফিল নিয়ে শব্দ দূষণের অজুহাতে বিশেষ নির্দেশনা অনভিপ্রেত। অতএব জনগণের কল্যাণের পথে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে সব দ্বীনি মাহফিল যথানিয়মে অনুষ্ঠানের অবাধ সুযোগ দেয়া হোক।

৫. যেসব বিষয় শরিয়তে নিষিদ্ধ ও হারাম, সে সব বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরা আলেমদের দায়িত্ব। অথচ এক শ্রেণির মানুষ আলেমদের বিরুদ্ধে বিষেদাগার ও দায়িত্বহীন আচরণ করছে। কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনাশের উসকানিও দিচ্ছে। এসবের খোঁজখবর রাখা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব। উসকানিমূলক বক্তব্য, অবমাননাকর মন্তব্য, উগ্র স্লোগান, মিছিল-মিটিং সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি করবে।

ওলামায়ে কেরাম কঠোর ধৈর্য সংযম অবলম্বন করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সরকারকে এসবের উপযুক্ত প্রতিবিধান করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী উদ্ভূত বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না। বিশেষ করে ইসলাম, দ্বীন ও বাংলাদেশ বিরোধী দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ রোধ করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।

এ বিভাগের আরো খবর