মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর দোহাই দিয়ে বিভিন্ন বিষয়কে শরিয়তবিরোধী আখ্যা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট: শিক্ষক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
আলোচনা সভায় ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, ‘এরা কথায় কথায় হাদিসের দোহাই দেয় যে, নবী করিম (সা.) এটা করে নাই, ওটা করে নাই। নবী করিম (সা.) ছবি উঠান নাই। আপনারা ছবি উঠান কেন?
‘নবী কোনো দিন প্লেনে উঠেন নাই। আপনারা ওঠেন কেন? উনি তো গাড়িতে ওঠেন নাই। আপনারা কেন গাড়িতে উঠেন? ইসলাম কখনই এ কথা বলে নাই। ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে সেরা ও যুগোপযোগী ধর্ম।’
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠন। এ নিয়ে সরকার ও ভাস্কর্যপন্থিদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তারা।
হানিফ বলেন, ‘আজকে মুসলমান যারা আমরা দাবি করছি, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন, তাহলে হিন্দু ধর্মের যারা তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে? খ্রিস্টান ধর্মের যারা মানুষ তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে? বৌদ্ধ ধর্মের যারা মানুষ, তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে?
‘আমরা যদি মনে করি যে, আমাদের সৃষ্টি কোরআন অনুযায়ী, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টির পরে আমরা কথা বলার কে? আল্লাহ পাকই তো ঠিক করে দিয়েছেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।’
বক্তব্যে ধর্মনিরপেক্ষতার মানে জানার আহ্বান জানান হানিফ। তিনি বলেন, ‘ইসলামে নাকি ধর্মনিরপেক্ষতা জায়েজ নয়। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে জানতে হবে। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। যার যার ধর্ম, সে তার মতো পালন করবে।
‘আজকে তারা ইসলামের নাম করে যে ভাষায় কথা বলছে, এর মধ্যে কোনো শান্তির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়? যে ভাষায় কথা বলছেন, তার মধ্যে কোনো সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যায়? তারা উগ্র, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী কথাবার্তা বলছেন।’
আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ।
এতে মুজিব শতবর্ষেই সরকার দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিষদের মহাসচিব তাজুল ইসলাম ফরাজী।