এই অঞ্চলে অনেক আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আলেমদের আপত্তিতে পিছু হটেনি সরকার; ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেসুহর সূহর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন ইসলামিক দেশে ভাস্কর্য থাকার উদাহরণ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখানে যুগ যুগ ধরে ভাস্কর্য নির্মাণ হয়েছে। ভাস্কর্য যুগ যুগ ধরে ছিল আছে থাকবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ হবেই।’
সম্প্রতি রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠন। এর মধ্যেই কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে ভাস্কর্যবিরোধীদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয় ভাস্কর্যের পক্ষের লোকজনের।
ভাস্কর্য ইস্যুতে সোমবার রাতে বেফাকের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে দেশের ১২ জন শীর্ষ আলেমের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের নমনীয়তা প্রকাশ পায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন মতের মানুষের সঙ্গে বসতেই পারে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে প্রতিদিন যারা সরকারকে নামাতে চায় তাদের সঙ্গে সরকার বসেছে। বিভিন্ন মতের মানুষের সঙ্গে বসা মানে এই নয় যে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়েছি।
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে বসেছেন। আমরা যে কারও সঙ্গেই বসতে পারি। যারা নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটে তাদের সঙ্গেও সরকার বসেছে, শেখ হাসিনা বসেছে। যারা সরকারকে প্রতিদিন টেনে নামিয়ে ফেলার হুমকি দেয়, প্রেসক্লাবের সামনে নয়াপল্টনে তাদের সঙ্গেও আমরা বসেছি। সুতরাং যারা ভাস্কর্য ইস্যুতে বিরূপ মন্তব্য করছে তাদের সঙ্গে সরকার বসতেই পারে।’
আলেমদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারের কোনো নড়চড় হয়নি বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান যেখানে ছিল সেখানে আছে, থাকবে। সমস্ত মৌলবাদী অপশক্তি যারা দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির ঐক্য-সংহতি নিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।’