বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেগমগঞ্জ নির্যাতন মামলায় অভিযোগপত্র জমা

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০২

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলী আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী ও সিরাজুল মোস্তফা।

তারা ধর্ষণ মামলার ১০০ পৃষ্ঠার ও ধর্ষণচেষ্টা মামলার ৩৩২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন।

এর আগে সকাল ১১টায় মাইজদী হাউজিং এলাকায় পিবিআইয়ের নোয়াখালী কার্যালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি করেন পিবিআইয়ের চট্রগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল ও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সি।

জড়িত থাকার প্রমাণ না মেলায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে এক জনকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তে এজাহারের বাইরে আরও ছয় জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ধর্ষণ মামলায় পাঁচ জনের এবং ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ৩০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে পিবিআই।

গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর সে ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করা হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ওঠে। ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

পরে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নয় জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। একটি নির্যাতনের ঘটনায়, একটি পর্নোগ্রাফি আইনে।

প্রথম দুই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হলেন- নুর হোসেন বাদল, মো. আবদুর রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, মাইন উদ্দিন সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ ও রহমত উল্যাহ।

এদের মধ্যে রহমত উল্যাকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছে।

ধর্ষণচেষ্টা মামলায় পিবিআইয়ের তদন্তে এজাহারের বাইরে যে ছয় জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তারা হলেন, দেলোয়ার হোসেন দেলু, জামাল উদ্দিন, নূর হোসেন রাসেল, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও মিজানুর রহমান তারেক।

এদের মধ্যে জামাল উদ্দিন, আবদুর রব, মিজানুর রহমান তারেক ও মোস্তাফিজুর রহমান আরিফ পলাতক।

প্রথম দুই মামলার পর দেলোয়ার ও আগের দুই মামলার আসামি আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে দুই জনের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুজনের মধ্যে আবুল কালাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর