বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা কবে আসবে, প্রয়োগ শুরু কবে- নিশ্চিত নয় তার কিছুই। এর আগেই ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে একটি তালিকা যাতে দাবি করা হচ্ছে এ টিকা প্রথমে পাবেন অল্প কিছু মানুষ; যারা সরকার, সরকার দল অথবা প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত। তবে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া তালিকাটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের-১ম কিস্তি সংখ্যা মোট ২ লাখ’ শিরোনামে ভাইরাল হওয়া ছবিতে প্রস্তাবিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রাধনমন্ত্রী এবং কেবিনেট ২০ হাজার, বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর অফিস ২০ হাজার, সচিবালয় ৫০ হাজার, অধিদফতর ও সেক্টর করপোরেশন ৫০ হাজার, মাঠ, প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার/ডিসি/এসপি/ওসি/ইউএনও/১০ হাজার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিফতর (জনসাধারণের মধ্যে বিতরণসহ) ২০ হাজার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৩০ হাজার, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন ৪০ হাজার, রিজার্ভ ১০ হাজার।’
এই তালিকা অনুযায়ীও মোট টিকা ২ লাখ ৫০ হাজার। কিন্তু শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে ২ লাখ।
সোমবার বিকেলে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। এটা ভিত্তিহীন, গুজব।’
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হবে। করোনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর কারা ছড়িয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করবে।
এর আগে রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তিন কোটি ডোজ টিকা বুকিং দেয়া হয়েছে। আগামী বছর ১৫ জানুয়ারির পর টিকা পাবে বাংলাদেশ। আমরা আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যেই এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে মোট ৩ কোটি টিকা আসবে। প্রতিটা টিকা আনতে ৫ ডলার আর সঙ্গে লোকাল খরচ হবে। প্রত্যেকের জন্য দুইটি ডোজ দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘টিকা বিতরণের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও গুজব বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘করোনা মাহামারির টিকা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা এখন থেকে নজরদারি করব। এ নিয়ে কেউ গুজব ছড়ালে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’