দেশের সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বনভূমি উদ্ধারে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কবে অভিযান শুরু হচ্ছে সে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন বিভাগের নামে রেকর্ডভুক্ত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ অভিযান। এরপর গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারে দখল হওয়া বনাঞ্চল উদ্ধারে অভিযানে নামবেন তারা। ধাপে ধাপে সারা দেশে চলবে এই বিশেষ অভিযান।
নির্দিষ্ট করে নাম বলা না হলেও মোট ১২ জেলায় বেদখলের পরিমাণ বেশি বলে সভায় জানানো হয়। ওই ১২ জেলার অভিযান পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন। আর এই বিশেষ অভিযান মনিটরিং ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।
অভিযান সফল করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সভায় জানানো হয়, সারা দেশে বনবিভাগের নামে সরকারে নথিভুক্ত সংরক্ষিত বনের পরিমাণ তিন লাখ ৩১ হাজার ৯০৭ দশমিক ৫২ একর। এর মধ্যে এক লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ দশমিক ৬ একর বন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ৮৮ হাজার ২১৫ জন।
৮২০ দশমিক ৩৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা স্থাপন করেছেন ১৪০ দখলদাররা।
আর পাঁচ হাজার ৯৮২ জন দখলদার ১৪ হাজার ১৪৯.১৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে নির্মাণ করেছেন হাটবাজার, দোকান, রিসোর্ট, কটেজ, কৃষি ফার্ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
৮২ হাজার ৯৩ জন ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৩.৫৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবৈধভাবে দখল করে ঘরবাড়ি কৃষি জমি তৈরি করেছেন।
বন বিভাগের নামে রেকর্ড করা সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বন অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।