বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বদিকে বাবা দাবি করে আদালতে যুবক

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৪৪

মামলা করা ইসহাক জানান, ১৯৯২ সালে তার মাকে বিয়ে করেন বদি। বিয়ে পড়ান বদিদের আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে কর্মরত মৌলভী আবদু সালাম। সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান মোহাম্মদ এখলাছ। বদির রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণের কারণে তিনি মায়ের কাছে সময় নেন।

কক্সবাজারের আলোচিত উখিয়া-টেকনাফ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন এক যুবক।

২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের দাবি, ২৮ বছর আগে তার মায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আওয়ামী লীগের আলোচিত এই নেতার।

রোববার টেকনাফ সহকারী জজ আদালতে এই মামলা করেন এই যুবক। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করার চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বদিকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন টেকনাফের সহকারী জজ জিয়াউল হক।

যুবকের নাম মো. ইসহাক। তার মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন।

ইসহাক জানান, ১৯৯২ সালে তার মাকে বিয়ে করেন বদি। বিয়ে পড়ান বদিদের আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে কর্মরত মৌলভী আবদু সালাম। সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান মোহাম্মদ এখলাছ।

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি

ইসহাক জানান, তার মায়ের কাছেই তিনি বাবার পরিচয় জানতে পারেন। মায়ের হাত ধরে অসংখ্যবার বদির কাছে গিয়েছেনও। বদি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন; মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে দোয়া করেছেন; লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এতদিন কেন চুপ ছিলেন, এমন প্রশ্নে ইসহাক বলেন, বদির রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণের কারণে তিনি মায়ের কাছে সময় নেন।

তবে এখন বয়স বাড়ার কারণে পিতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন। আর এই তাগিদ থেকে বদির ছোটবোন শামসুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মা-ছেলে। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।

তবে বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই বাধ্য হয়ে পিতৃত্বের দাবিতে আদালতে এসেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বদিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

মো. ইসহাকের আইনজীবী নাজিম উদ্দীন বলেন, তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে বদি বা তার পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকলেও তার আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন। তিনি মামলার কথা নিশ্চিত করলেও আর কিছু বলতে রাজি হননি।

বদি নানা ঘটনায় বাংলাদেশে আলোচিত চরিত্র। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি কক্সবাজার-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার বদলে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় তার স্ত্রী শাহিন চৌধুরী। তিনিই এখন ওই আসনের সংসদ সদস্য। তবে নেপথ্যে থেকে কাজ করেন বদি।

এই রাজনীতিক আলোচিত ইয়াবা পাচারের অভিযোগ নিয়ে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির প্রতিবেদনে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের কারবারে তার সম্পৃক্ততার তথ্য আছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন এসেছে একাধিক। তবে বদি বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর ওই বছরের ২০ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয়নি এখনও।

এ বিভাগের আরো খবর