বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরী ধর্ষণ: মৃত্যুদণ্ডের ৫ আসামি খালাস

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৩৫

আদালত রায়ে বলেছে, মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত ছিল না। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী ছিল না। ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানন্দির সঙ্গে এজহারের উল্লেখিত বর্ণনার অমিল পাওয়া গেছে। অপরাধস্থলের কোনো সাক্ষী ছিল না এবং ভাইটাল কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।

দেড় যুগ আগে নেত্রকোণায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার কালডোয়ার গ্রামের শামীম, দুই ভাই ভিকন ও টিকন, তাপস এবং বুধি গ্রামের রূপ মিয়া।

আদালত রায়ে বলেছে, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত ছিল না। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী ছিল না। ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানন্দির সঙ্গে এজহারের উল্লেখিত বর্ণনার অমিল পাওয়া গেছে। অপরাধস্থলের কোনো সাক্ষী ছিল না এবং ভাইটাল কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি- এসব বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন, বজলুল কবির, আফিল উদ্দিন, সাকিব মাহবুব ও সাইফুর রহমান রাহি এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোজাম্মেল হক রানা।

রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করতে অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর নোট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সব আসামিকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার বাহাদুর গ্রামের এক কিশোরী ২০০২ সালের ২০ জুলাই মা ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার সাত্যাটির আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা হন। কুমারকালী ব্রিজের কাছে তাদের রিকশার গতিরোধ করে মেয়েটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় কয়েকজন। এ সময় তারা মেয়েটির মা ও দুলাভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করে এবং তাকে ধর্ষণ করেন।

এ অভিযোগ এনে ওই কিশোরী মামলা করেন। মামলায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় নেত্রকোণার বিচারিক আদালত। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করে এবং ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

সেই ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে আসামিদের খালাস দিয়ে সোমবার রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর