দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৯৮ শতাংশ এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনা হয়েছে বলে দাবি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর।
দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলে ধরে সোমবার সকল মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ দাবি করেন তিনি।
চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৩ কোটি ৮৭ লক্ষ এবং দেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। অবশিষ্ট ২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের অবস্থান প্রত্যন্ত অফগ্রিড এলাকায়। এ সকল এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবল এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মধ্যে সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী বলে জানান নসরুল হামিদ।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো পর্যবেক্ষণ বা পরামর্শ থাকলে তা যথাশীঘ্র জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
নসরুল হামিদ মনে করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ স্লোগানের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে প্রত্যয়ী তারা। এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের পথে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার অন্যতম মূল নিয়ামক বিদ্যুৎ। বর্তমান সরকারের সময়োচিত ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের ফলে গত ১১ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতাসহ বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির এই বিশ্ব বিপর্যয়ের মধ্যেও সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১৬ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এরই মধ্যে ২৩,৫৪৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সাতটি জেলা এবং ২৮৮টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে।