করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী আনা এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
রোববার নিয়ন্ত্রক সংস্থার জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, সনদ ছাড়া যাত্রী আনলে এয়ারলাইন্সের অনুমতিই বাতিল করা হবে।
প্রথমবার নিয়ম ভাঙলে একটি ফ্লাইটের অনুমতি বাতিল করা হবে। দ্বিতীয় বারের ক্ষেত্রে শাস্তি তিনটি ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা।
তারপরেও যদি কোনো এয়ারলাইন্স নিয়ম না মানে, তাহলে তৃতীয় বারের জন্য এক সপ্তাহ ও চতুর্থবারের জন্য চার সপ্তাহের জন্য ফ্লাইট স্থগিত করা হবে।
শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চালানো হচ্ছে।
এর মধ্যেই করোনা আক্রান্ত যাত্রী আনায় জরিমানা গুনেছে মালয়েশিয়ার বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার এশিয়া।
করোনা প্রতিরোধে, বাংলাদেশে আসতে ফ্লাইট ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীর পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের সেই সনদ দেখাতে হবে। কোনো যাত্রীর করোনার উপসর্গ দেখা গেলে নেগেটিভ সনদ থাকলেও বাধ্যতামূলকভাবে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর বিধান রাখা হয়েছে।
আগের সার্কুলার জারির পরেও করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করায় নয়টি এয়ারলাইন্সকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও রয়েছে।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সালাম এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজ, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, এয়ার এশিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া, গালফ এয়ার ও টার্কিশ এয়ারলাইন্স।