বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:৫২

দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নামতে শুরু করে জনতার। সবার কণ্ঠে একটাই আহ্বান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে দেশবাসী। করোনা মহামারির মধ্যেও এই শ্রদ্ধা নিবেদনে জনসমাগমে এতটুকু কমতি নেই।

সোমবার সকাল সাতটা ১০ মিনিটে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ জাতির শ্রেষ্ঠ নাগরিকদের তুলে নিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনীর এ দেশীয় দোসর আলবদর।

এই খুনিরা যাদের হত্যা করেছিল, তাদেরকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর পালিত হয় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।

প্রতি বছরই এই দিনে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার তা হচ্ছে না।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে মৌলবাদী চক্রের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, ‘আমি দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

এবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক শক্তির একটি অংশ জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মাণকে সামনে রেখে শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ হলে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া, টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়ার হুমকির মধ্যে কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্যে ভাঙচুরও করা হয়েছে।

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের মধ্যে মাঠে নেমেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতির সংগঠন।

এর মধ্যে আবার দেশ জুড়ে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি বিচারকরা মাঠে নেমে জাতির পিতার সম্মান অম্লান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জাতির পিতা। তার ওপর যে কোনো হামলা জাতির ওপর হামলা হিসেবে দেখা হবে।

শহিদ বেদীতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধা জানাতে আসেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারাও, যাদের হাত ধরে এসেছে লাল সবুজ পতাকা।

শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নামতে শুরু করে জনতার। সবার কণ্ঠে একটাই আহ্বান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া।

এ বিভাগের আরো খবর