বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বয়ান শুনে ভাস্কর্য ভাঙচুর, আদালতে দুই কওমি ছাত্র

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:২৮

আসামি আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও সবুজ ইসলামকে রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আমলি আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের কাছে নিলে তারা ১৬৪ ধারায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মসজিদে মূর্তি নিয়ে বয়ান শোনার পরই কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের সিদ্ধান্ত নেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন গ্রেফতার কওমি মাদ্রাসার দুই ছাত্র।

আসামি আবু বক্কর ওরফে মিঠুন ও সবুজ ইসলামকে রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আমলি আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের কাছে নিলে তারা ১৬৪ ধারায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে নিলে তিন ঘণ্টার জবানবন্দিতে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেন।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল ও সংগঠনের বিরোধিতার মধ্যে ৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়ায় পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।

গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করা হয় রাতের আঁধারে

পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে পুলিশের স্থাপন করা কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৭ ডিসেম্বর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে চরমোনাইয়ের পীরপন্থি মাদ্রাসাটির দুই ছাত্র ও দুই জন শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

রোববার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ বলেন, ‘ওয়াজ শুনতে ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে ফয়জুল করিম ও মামুনুল হকের ওয়াজ। এখন শুনি ভাস্কর্য নিয়ে। ৩ ডিসেম্বর মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ আলী ও সহপাঠী আবু বক্করের সঙ্গে শীতের পোশাক কিনতে কুষ্টিয়া শহরে আসি। মাদ্রাসায় ফেরার পথে পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দেখি। ওই দিনই মসজিদে মূর্তি সম্পর্কে বয়ান শুনি। সেখানে ইমাম ছিলেন ইবনি মাসউদ মাদ্রাসার নাজিমে তালিমা (দ্বিতীয় শিক্ষক) মাওলানা এবাদুর রহমান। তিনি মূর্তিও ভাস্কর্যের ইতিহাস এবং ইসলামে অবৈধ বলে বয়ান দেন।’

তিনি বলেন, বয়ানে কুষ্টিয়ায় পাঁচ রাস্তার মোড়ে শাপলার পরিবর্তে মূর্তি বসানো হয়েছে। নামাজ থেকে যাওয়ার পথে আমি আর আবু বক্কর মূর্তিটি ভেঙে ফেলব বলে আলোচনা করি। মাদ্রাসার নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে দুটি হাতুড়ি নিয়ে রাতে এসে ভেঙে ফেলি।’

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৭ ডিসেম্বর কওমি মাদ্রাসা ইবনি মাসউদের চার ছাত্র ও শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফাইল ছবি

স্বীকারোক্তিতে অপর ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুনও একই কথা বলেন। সকালে মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাদের বাড়ি চলে যেতে বলে বলেও আদালতকে জানান তারা।

গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দুই শিক্ষক আল-আমিন ও ইউসুফ আলী গতকাল একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।

রোববার প্রথমে বিচারকের সামনে নেয়া হয় সবুজকে। পরে জবানবন্দি নেয়া হয় আবু বক্করের। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠান বিচারক।

এ বিভাগের আরো খবর