বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:২৬

করোনা মহামারির কারণে এবার মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা না গেলেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে থাকছে রাষ্ট্রীয় আয়োজন।

কাল ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী বর্বর বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

পাকিস্তানি হানাদাররা নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে। মুক্তিকামী বাঙালি জাতি যেন মেধায়-মননে আর কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য তারা হত্যা করে শিক্ষক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের।

বিজয়ের আনন্দের আগে এই দিনটিতে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে আসছে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী বুদ্ধিজীবীদের। মিরপুর ও রায়েরবাজারের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঢল নামে অগুণতি মানুষের।

কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবার মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা না গেলেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে থাকছে রাষ্ট্রীয় আয়োজন। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির পক্ষে সকাল ৭টা ০৫ মিনিটে এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৭টা ০৬ মিনিটে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহিদ বেদিতে তাদের প্রতিনিধিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

সকাল ৭টা ২২মিনিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহিদ পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ৮টা ৩০মিনিটে খুলে দেয়া হবে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন সর্বস্তরের মানুষ।

ওদিকে, সকাল ৮টা ৩০মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন শহিদ পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ। সকাল ৯টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন।

সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১০ টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর