বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবরিনার জামিন, তথ্য প্রকাশ তিন সপ্তাহ পর

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:০৪

করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হওয়া এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির মামলায় আসামি। গত ২২ নভেম্বর ওই মামলায় জামিন পান তিনি। তবে সেটি গোপন থাকে প্রায় তিন সপ্তাহ।

জালিয়াতি করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির মামলায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

তবে করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে মামলার আসামি হওয়ায় তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত থেকে দুই মামলায় আলোচিত এই চিকিৎসক জামিন পেলেও তা জানাজানি হয় রোববার।

বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মাঝহারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছন।

গত ৩১ আগস্ট বরিনার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হওয়া এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অপরাধ করেছেন সাবরিনা।

২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে।

১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলেও একই শাস্তি হতে পারে।

২০১৫ সাল থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা সাবরিনার বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে বিচার চলছে।

জেকেজি হেলথ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী এই চিকিৎসক। তারা দুই জনই এই মামলায় গ্রেফতার আছেন।

সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করার অভিযোগে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ২৭ আগস্ট বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল জেকেজি হেলথ কেয়ার। জুনের শেষে জানা যায়, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিল।

পরে পুলিশ অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর