রাজধানীর বাড্ডা থানায় র্যাব সদস্যদের করা মাদক মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।রোববার ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল জামিনের আবেদন শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেন ।
১০ ডিসেম্বর র্যাব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ , অবৈধ মাদকদ্রব্য এবং বহু দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রাখার দায়ে মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে। এরপর বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করা হয় ।
আদালতে মনিরের পক্ষে মাদক মামলায় জামিন শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি। তিনি শুনানিতে বলেন যে মনির একজন ব্যবসায়ী ও জন্মসুত্রে এ দেশের স্থায়ী নাগরিক এবং দেশের মধ্যে তার কোটি কোটি টাকার বৈধ সম্পদ রয়েছে বিধায় বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মনিরের জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।
গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা ৬০০ ভরি সোনার গহনা, ১টি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ১টি ম্যাগাজিন, বিদেশি মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করেন। এরপর র্যাব বাড্ডা থানায় পৃথক ৩টি মামলা করেন ।ওই দিন র্যাব সদস্যরা জানান, মনির ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় ২ শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক,যা রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজসে বাগিয়ে নিয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া মনিরের কাছ থেকে র্যাব সদস্যরা ৩টি বিলাসবহুল গাড়িও উদ্ধার করেন যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা ।