সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের করা দুই মাদক মামলার অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
আদালতে জমা দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ তামান্না ফারাহর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, আদালত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছে।
৩১ জুলাই সিনহা টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে যান। রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারে ফেরার পথে শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তাদের গাড়ি থামিয়ে সিনহাকে গুলি করা হয়। ওই সময় গাড়িতে সিনহার সঙ্গে শিপ্রা ও সিফাতও ছিলেন।
৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সিনহা হত্যার দিন টেকনাফ ও রামু থানায় শিপ্রা ও সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করে পুলিশ। তাদের গ্রেফতার করে কক্সবাজার থানায় রাখা হয়। এরপর ৯ আগস্ট শিপ্রা ও ১০ আগস্ট সিফাত জামিন পান।
রোববার সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় র্যাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার বরখাস্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। সিনহাকে গুলি করেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।