বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর নামে ইউনেস্কোর পুরস্কার

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:২৫

মন্ত্রী জানান, শুক্রবার ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অফ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামের এ পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

রোববার মন্ত্রণালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মন্ত্রী জানান, শুক্রবার ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অফ ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামের এ পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এটিই জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থা প্রবর্তিত প্রথম পুরস্কার।

মন্ত্রী জানান, ৫০ হাজার ডলার অর্থমূল্যের এ পুরস্কার দেয়া হবে দুই বছর পরপর। ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সভায় পুরস্কারটি প্রথম দেয়া হবে।

পুরস্কারটির মাধ্যমে সৃজনশীল অর্থনীতিতে সংস্কৃতিকর্মী, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের অনগ্রসর নারী, অভিবাসী ও প্রবাসী জনগোষ্ঠী প্রাধান্য পাবেন।

সৃজনশীলতা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মেলবন্ধনই মূলত ‘সৃজনশীল অর্থনীতি’। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতিভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশ হয়। ‘সৃজনশীল শিল্পে’র ভিত্তি হলো সাহিত্য, সংগীত, হস্তশিল্প, চিত্রকলা, চলচ্চিত্রসহ সৃষ্টিশীলতার নানা মাধ্যম।

করোনা মহামারির আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্প খাতের অবদান ছিল বার্ষিক ২.২৫ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রায় এক যুগ ধরে এ ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করলেও স্বীকৃতিসূচক কোনো পুরস্কার প্রবর্তন করেনি ইউনেস্কো।

বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কারটিই হবে এ ক্ষেত্রে সংস্থাটি প্রবর্তিত প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দূরদর্শী চিন্তক ছিলেন। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে তার অবদান অনস্বীকার্য।

‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সংস্কৃতির প্রতি মমত্ববোধ, সর্বোপরি তার জীবনাদর্শ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে একটি পুরস্কার প্রবর্তনের কথা আমরা চিন্তা করি।’

মন্ত্রী জানান, পুরস্কার প্রবর্তনের বিষয়ে ২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে ইউনেস্কো মহাপরিচালকের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো হয়।

২ থেকে ১১ ডিসেম্বর নির্বাহী পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য উত্থাপন করে ইউনেস্কো সচিবালয়। ১১ ডিসেম্বর পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ইউনেস্কোর মতো জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা প্রবর্তিত এ পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে, বিশ্বময় সংস্কৃতি কর্মীদের সৃজনশীল অর্থনীতির বিকাশে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে সদস্য রাষ্ট্রের আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউনেস্কো।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ২৩টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে সংস্থাটি। এই প্রথম বাংলাদেশের কারও নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল ইউনেস্কো।

এ বিভাগের আরো খবর