মানবদেহ ও পরিবেশের ওপর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার এর ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
রোববার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘হাই লেভেল পলিসি ডায়লগ অন স্টপিং টক্সিক প্লাস্টিক ওয়েস্ট ট্রেড অ্যান্ড ইটস ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জুট প্যাকেজিং আইন পাস করে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগামী এক বছরের মধ্যে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ১৪০০ প্রতিনিধি ২০১৯ সালের ১০ মে প্লাস্টিক বর্জ্যকে বাসেল কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং এসব বর্জ্যকে একটি আইনি কাঠামোতে আনতে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের ট্রান্স বাউন্ডারি মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। এ ছাড়া আমদানি নীতি ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনেও সরকার কাজ করছে।
খাবার ও ব্যক্তিগত পণ্যের মোড়ক, পানির বোতল, টুথপেস্ট টিউব, প্লাস্টিক টুথব্রাশ, টি ব্যাগ, বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, প্লেট, কাপ, গ্লাসসহ একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সেশনটি পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন এসডোর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতোমোরি, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহমদ, এসডোর সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।