হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই।
রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
হেফাজতের এ নেতা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সংগঠনটির নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী। কাসেমীর সর্দি, ঠান্ডা ও ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত সমস্যা ছিল বলেও জানানো হয় হেফাজতের পক্ষ থেকে। তবে কাসেমীর করোনা পরীক্ষা করা হলে ফল নেগেটিভ আসে।
ইউসুফী বলেছিলেন, ‘উনার এটা অনেক পুরানা রোগ। মাঝেমধ্যে হাসপাতালে যান। এখন একটু বেশি হয়ে গেছে। তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।’
কাসেমীকে গত ১ ডিসেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ তারেক আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে হাই ডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়। সন্ধ্যার পর নেয়া হয় সিসিইউতে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় আইসিইউতে।
পরে এক বিবৃতিতে কাসেমীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী।
কাসেমী রাজধানীর বারিধারার ঢাকা জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
কাসেমী অসুস্থ থাকায় ভাস্কর্য ইস্যুতে গত ৫ ডিসেম্বর তাকে বাদ দিয়েই বৈঠক করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক আলেমরা। বৃহস্পতিবার হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাসেমী হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বরের সম্মেলনে তাকে কেন্দ্রীয় মহাসচিব করা হয়।