বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা পারে ভিড় থামছেই না

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৫৮

সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, নিজেদের টাকায় সেতুটি নির্মিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এটিকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বেশি। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ মেলাতে পদ্মা পাড়ে ছুটে আসছেন তারা।

স্প্যান বসানো শেষ। আস্ত পদ্মা সেতু এখন দেশবাসীর আকর্ষণস্থল। সেতুর দুই প্রান্তে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়। নিজ চোখে স্বপ্নের বাস্তব রূপ দেখতে আসে তারা।

ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসে গত বৃহস্পতিবার। সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে পূর্ণ রূপ পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত সেতুটির মূল কাঠামো।

নিজ অর্থে এই সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ কেবল অর্থনৈতিক শক্তিই দেখায়নি, অবাক করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। পাল্টে দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কের ধরনও।

সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর পর থেকেই ভিড় বেড়ে চলছে পদ্মার তীরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই পদ্মার পাড়ে ছুটে আসছেন তারা।

সেতুর সবশেষ স্প্যান বসানো নিজের চোখে দেখেছেন পতাকা বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সবগুলো স্প্যান বসানোর পর প্রতিদিন আগের চেয়ে বেশি মানুষ সেতু দেখতে আসে। আমার পতাকা বিক্রিও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।’

একই কথা বললেন পদ্মা পারে চা বিক্রিতা জিসান। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হওয়ায় আগের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসছে। ব্যবসায়ও চাঙ্গা ভাব এসেছে।’

সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, নিজেদের টাকায় সেতুটি নির্মিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এটিকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বেশি। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সমীকরণ মেলাতে পদ্মা পারে ছুটে আসছেন তারা।

ঢাকা মিরপুর থেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসা বাদশা মিয়া বলেন, ‘পাঁচ বন্ধু মিলে মাইক্রোবাস ভাড়া করে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। খুব কাছ থেকে পদ্মা সেতু দেখে অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় প্রায়ই এই এলাকায় ঘুরতে আসি। দেখতে দেখতে পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হওয়ায় অন্য সবার মতো আমিও আনন্দিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অন্যরকম নির্দশন হয়ে থাকবে।’

পদ্মা সেতু এলাকায় ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাও।

মাওয়ার নৌ পুলিশ ফারির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, পদ্মা সেতু এলাকার নদীর নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ট্রলার বা স্পিডবোটে করে কেউ যাতে পিলারের কাছে যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ট্রলার বা স্পিডবোট চালকদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর স্থলভাগের নিরাপত্তায় কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’

এ বিভাগের আরো খবর