কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে যাচ্ছে র্যাব।
চার মাসের বেশি সময় মামলার তদন্তের পর রোববার কক্সবাজার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আদালতে হস্তান্তর করা হবে।
র্যাব এখন পর্যন্ত হত্যার সঙ্গে ১৫ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন। গ্রেফতার কয়েক জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে একটি ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন সিনহা। ডকুমেন্টারিটি ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য শুট করা হচ্ছিল।
৩১ জুলাই সিনহা শামলাপুর পাহাড়ে যান। রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারে ফেরার পথে শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তাদের গাড়ি থামিয়ে সিনহাকে গুলি করা হয়।
৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। দুই নম্বর আসামি করা হয় ওসি প্রদীপকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রদীপের সঙ্গে পরামর্শ করে লিয়াকত সিনহাকে গুলি করেন। এরপর প্রদীপ ঘটনাস্থলে গিয়ে জুতা দিয়ে আঘাত করে সিনহার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা বিকৃত করার চেষ্টা করেন।
মামলার তিন নম্বর আসামি টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল রক্ষিত। দুলাল সিনহার মৃত্যুর পর মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ১৪ জন হলেন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।