বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অমুসলিমদের মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ চান জাফরুল্লাহ

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:২৪

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ স্বাধীনতার কথা বলব। সেখানে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করব না। তার নাম উচ্চারণ করব না, তা তো হতে পারে না।

অমুসলিমদের মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সবার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। সেখানে অমুসলিমরাও শিক্ষা নিতে পারবে। তাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে না। কিন্তু শিক্ষা নিতে হবে। এতে মুসলমানদের ভালো হবে। তারা (অমুসলিম) ইসলামের ভালো দিকগুলো দেখতে পারবে। তাদের ইসলামফোবিয়া (ইসলামভীতি) কমে যাবে।

শনিবার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনায় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা হয়।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র, শ্রমিক ও যুব অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা ও গণসংহতি আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ স্বাধীনতার কথা বলব। সেখানে মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করব না। তার নাম উচ্চারণ করব না, তা তো হতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের নিয়ম হচ্ছে যারা দেশের জন্য কিছু করেছে, দেশে নিয়ে কিছু করেছে, তাদের নাম মুছে ফেলা। শুধু এক ব্যক্তিকে মহৎ করে দেখায় তারা। স্বাধীনতার কথা বলব, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলব কিন্তু তাজউদ্দিনের কথা বলব না, এটা হতে পারে?’

দেশের চলমান ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে হুজুররা এত শক্তি পেল কোথায়? সাহস পেল কোথায়? তাদের কে মাঠে নামাল? এটারও ইতিহাস আছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে যখন জো বাইডেন নির্বাচিত হলেন তখন অন্যদের মতো বাংলাদেশ সরকারও অভিনন্দন জানিয়েছে। সেখানে সবার উত্তর এসেছে। কিন্তু হাসিনার উত্তর আসেনি। কারণ জো বাইডেন জানেন রাতের আঁধারে যে ভোট ডাকাতি করে সে (শেখ হাসিনা) গণতান্ত্রিক সরকার নয়। তাই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হুজুরদের মাঠে নামানো হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ টুপি মাথায় ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থানে মাঠে নামল। যাতে তারা (জো বাইডেন) জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের উত্থান দেখে ভয় পায়।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের কঠিন দায়িত্ব, আলেমরা জ্ঞানীগুণী মানুষ। কিন্তু অনেক সময় তারা একচোখা হয়। আন্দোলন করছেন মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে। এটা কোরআনের কোনো জায়গায় লেখা নেই। মূর্তি পূজা করতে নিষেধ আছে কিন্তু মূর্তি ভাঙতে বলে নাই। ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলন থেকে সরে হুজুরদেরকে জনগণের অধিকারের আন্দোলন, ন্যায়-নীতির আন্দোলনে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মওলানা ভাসানীকে বিলীন করে দেয়ার চেষ্টা হয়। এমনকি তাজউদ্দীন সাহেবকে বিলীন করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ভাসানীই বাংলাদেশ, এটা বলতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, সরকার যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকে সহজে স্কিপ করার সুযোগ নেই। সরকার যেখানে দাঁড়িয়েছে, সেখান থেকে এক্সিটের (বের হওয়ার) রাস্তাই হলো অতিদ্রুত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা ঠিক করে সেটিকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা।

এজন্য সরকারকে দেশের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান নূর।

নূর বলেন, ‘আমরা চারটি সংগঠন মিলে বৃহত্তর মুক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছি। বৃহত্তর ঐক্য আর আন্দোলন ছাড়া এই জাতির মুক্তি হবে কিনা আমি জানি না।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, গণসংহতির আবুল হাসান রুবেল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর