চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের মছজিদ্দা এলাকার পাহাড় থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) একটি টিম কঙ্কালটি উদ্ধার করে।
সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি শাহনেওয়াজ খালেদ নিউজবাংলাকে বলেন, সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের মোহাম্মদ মুছার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ি খাঁজের গর্ত খুঁড়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছে।
যেই জায়গা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা সেটি মুছার লিজ নেয়া জায়গা। কঙ্কালটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় মুছা।
উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী সালাউদ্দিনের কঙ্কাল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া কঙ্কালটি সালাউদ্দিনের বলতে নারাজ সিআইডি চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি শাহনেওয়াজ খালেদ।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১২ জুন নিখোঁজ হন সালাউদ্দিন। এরপর সালাউদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা আকতার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় দিঘীরপাড় এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরকে। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় কঙ্কালের তথ্য দেয়া মুছাকে। ঘটনার পর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালে আলমগীর আদালত থেকে জামিন পান। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৮ সালের আগস্টে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি।
সিআইডির চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি মুছা তার জায়গায় কঙ্কাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি আমাদেরকে জানায়। এরপর শনিবার দুপুর ১২টায় নিজ বাসা থেকে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে মুছার দেখানো জায়গায় গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, আলমগীর কঙ্কালটি সালাউদ্দিনের কিনা সেটা নিশ্চিত করেননি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে চার পাঁচজন ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। তাই কঙ্কালটি সালাউদ্দিনের কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
সিআইডির চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, গর্ত খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করতে পেরেছি। ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি সালাউদ্দিনের কিনা।
তিনি আরও বলেন, ‘আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় আরো মামলা রয়েছে। তাকে আমরা ভয়ঙ্কর অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে সে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। আলমগীরের স্ত্রীর সঙ্গে নিখোঁজ সালাউদ্দিনের পরকীয়া ছিল বলে একটি তথ্য আমরা জেনেছি। তবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।’